Header Ads

Breaking News
recent

শান্তির বার্তা ছড়িয়ে শেষ হল ৪৫ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান

কাওসার আহম্মেদঃ

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮  

আজ রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে, ৪৫ তম কঠিন চীবর দান উপলক্ষে, প্রজ্ঞালংকা মহাত্ম বনভান্তের নেতৃত্বে পঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধমুর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর উৎসর্গ দানের মাধ্যমে শুরু হয় এবারের কঠিন চিবর দানোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। বৃহস্পতিবার  বিকালে বেইন ঘরে সুতা কাটার মধ্যে দিয়ে এর শুভ উদ্বোধন করেন চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় এবং রাণী ইয়েন ইয়েন ।

এই অনুষ্ঠানে মূলত বৌদ্ধ ভিক্ষুদেরকে ত্রি-চীবর নামে বিশেষ পোশাক দান করা হয়। এই পোশাক তৈরি করার জন্য প্রস্তুতিস্বরূপ প্রথমে তুলার বীজ বোনা হয়, পরে তুলা সংগ্রহ করে তা থেকে সুতা কাটা হয়, সুতায় রং করা হয় বিভিন্ন গাছের ছাল বা ফল থেকে তৈরি রং দিয়ে, সবশেষে নানা আচার-অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় নিয়ম-কানুন মেনে মাত্র ২৪ ঘণ্টায়, অর্থাৎ এক দিনের ভিতর তৈরি করা হয় এই ত্রি-চীবর। এই পোশাক বোনায় ব্যবহার করা হয় বেইন বা কাপড় বোনার বাঁশে তৈরি ফ্রেম। এরকম বেইনে একসঙ্গে চারজন কাপড় বুনে থাকেন। এভাবে ২৪ ঘন্টা পর তৈরি হওয়া সেসব পবিত্র চীবর, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হাতে তুলে দেয়া হয় কঠোর ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে।
বৌদ্ধ শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে, এভাবে চীবর দেয়া হলে কায়িক-বাচনিক ও মানসিক পরিশ্রম বেশি ফলদায়ক হয়। এ জাতীয় অনুষ্ঠান সমাজে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে বলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস। তাছাড়া বুদ্ধের বাণী হলো, কঠিন চীবর দানই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দান ।
উক্ত অনুষ্ঠানে চীবর তৈরির পর শুক্রবার দুপুর একটায় শোভাযাত্রা সহকারে কঠিন চীবর ও কল্পতরু মঞ্চে আনা হয়। ২৪ ঘন্টায় তৈরি করা চীবরটি সমবেত পূণ্যার্থীদের পক্ষে মহাপরিনির্বাণ লাভ মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের উত্তরসূরি রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুপ্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরকে হস্তান্তর করে উৎসর্গ করেন চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ, (রিজিয়ন কমান্ডার রাঙ্গামাটি রিজিয়ন), ঊষাতন তালুকদার (সংসদ সদস্য ২৯৯ নং পার্বত্য আসন), এ কে এম মামুনুর রশিদ (জেলা প্রশাসক রাঙ্গামাটি), লেঃ কর্ণেল রেদওয়ানুল ইসলাম (জোন কমান্ডার রাঙ্গামাটি সদর জোন), আলমগীর কবির, (পুলিশ সুপার রাঙ্গামাটি), বৃষকেতু চাকমা, (চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ রাঙ্গামাটি), গৌতম দেওয়ান (উপাসক উপাসিকা ও কার্য নির্বাহী পরিষদের সভাপতি), অমীয় খীসা (সেক্রেটারি রাংগামাটি রাজবন বিহার), আকবর হোসেন চৌধুরী, (মেয়র রাঙ্গামাটি পৌরসভা) ।
অপরদিকে তিন পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন বিহার থেকে আসা  আনুমানিক ২৫০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু সহ দেশ-বিদেশ হতে আগত আনুমানিক ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ হাজার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পুর্ণাথীর আগমন ঘটেছে এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে । বন বিহারের আশেপাশে রকমারী জিনিসপত্রের দোকান, খাবার দোকান নাগর দোলা বসানো হয়েছে।কঠিন চীবর দান  অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 
[https://www.alokitorangamati.com/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%9B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7-%E0%A6%B9%E0%A6%B2-%E0%A7%AA%E0%A7%AB-%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8/405]

No comments:

Powered by Blogger.